গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রতিবেশীর বেধড়ক পিটুনিতে শিউলী আক্তার লতা (৩০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। রাতেই পুলিশ লতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী তিন জনকে আটক করে। নিহতের স্বামী ছাত্তার মোল্লা প্রায় ১৫ বছর ধরে দুবাই প্রবাসী। দুই বছর আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। তাদের রিফাত নামে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। একটি বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের ইউনুস মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাপাসিয়া থানার ওসি (অপারেশন) মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ময়েজউদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৪৫), ছেলে মাহফুজ (২২) ও মেয়ে কাকলী আক্তারকে (২৫) আটক করা হয়েছে। নিহতের ভাসুর মোতালিব বাদী হয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিহত গৃহবধূর ভাসুর স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালিব মোল্লা জানান, রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে শিউলী আক্তার লতাদের সীমানা থেকে একটি বাঁশ প্রতিবেশী ময়েজউদ্দিন কেটে ফেলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাটিসোটা নিয়ে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে লতাকে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রবিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।